সাইকেল নিয়ে কলকাতা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা Experience traveling to Kolkata by cycle 2021 in bengali

কাল সকাল সাইকেল নিয়ে চললাম ভিক্টোরিয়ার উদ্দেশ্যে, কিন্তু গল্পঃ টা শুরু হয়েছিল আগেরদিন রাতে, দিনটা বৃহস্পিবার, আমার একটা বন্ধু কে জিজ্ঞাসা করলাম কাল সকালে আমার সাথে যাবে কিনা? বন্ধু টা বললো যাবে আমার সাথে এবং ঠিক করলাম সকাল ৬ টা নাগাদ আমরা ভিক্টোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। সেই মত সকল ৬টা নাগাদ সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম এবং দুজন মিলে সাইকেল নিয়ে ভিক্টোরিয়ার সামনে উপস্থিত হলাম।


ভোরের আবহাওয়া টা কে না ভালোবাসে আর সাথে যদি ভিক্টোরিয়ার মত একটা অপূর্ব জায়গা হয়ত আর কিছু বলার নেই।আমরা কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর ঠিক করলাম বাবুঘাট এর গঙ্গা পারে যাবো। তখনও জানতাম না আমাদের সাথে কি হতে চলেছে !

যথারীতি আমরা বাবুঘাট এ পৌঁছে দেখি গঙ্গার ঘাট গুলি খুব ভির, দিনটা ১৯সে নভেম্বর ২০২১ মনে হয় কোনো একটা অনুষ্ঠান ছিল তাই সব গঙ্গা ভিড়ে পরি পূর্ণ ছিল, তাই তখন ঠিক করলাম বেলুড় মঠ যাবো, যেই বলা সেই কাজ, আমরা হাওড়া স্টেশন কে পাস কাটিয়ে আমরা বেলুড় এ পৌছালাম কিন্তু ওই গ্র্যান্ড ট্যাংক রোড (G.T. Road) এর অবস্থা টা ছিল খুব খারাপ তারউপর রাস্তা টা খুব ভিড় ছিল মানুষ ও গাড়ি ঘোড়াতে, যাইহোক অবশেষে আমরা মঠে পৌঁছে সাইকেল দুটিকে গ্যারেজে পার্ক করে আমরা মঠের ভেতর প্রবেশ করলাম এবং জুতে খুলে হাত মুখ ধুয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলাম, আমরা দুই বন্ধু খুব বেশি ই বক বক করছিল মন্দিরের ভিতরে তাই তার ফল স্বরুপ বকা ও খেলাম, যাই হোক তারপর আমরা ঠিক করল মঠ এর ঘটে যাবো কিন্ত দেখলাম ঘট টি 

 সম্পূর্ন বন্ধ তাও আবার দড়ি দিয়ে, কি করবো বুঝতে না পেরে আমরা বাকি মন্দির গুলি দর্শন করে বেরিয়ে পড়লাম দক্ষিণেশ্বরর উদ্দেশে,  রামকৃষ্ণ মঠ এর পাশেই রয়েছে জেটি ঘাট, আমরা দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার লঞ্চের টিকিট কেটে অপেক্ষা করতে লাগলাম, অবশেষে লঞ্চ এলো আর আমরা তাতে উঠে বসলাম চারিদিকে শুধু জল আর জল, কিছু ছোট ছোট ভাই সাঁতার কেটে আমাদের লঞ্চের উপর উটছে আবার উপর থেকে গঙ্গাতে ঝাঁপ মারছে, সে এক দেখার মত দৃশ্য, এই ভাবে আমরা পৌঁছে গেলাম দক্ষিণেশ্বর এর জেটি ঘাটে, আমরা মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশের পূর্বে ই দেখি কি বিশাল ভিড়, আমরা ঠিক করলাম মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ না করে বাইরে থেকে প্রণাম সেরে নিলাম |

সেই সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি এক্ষণ দুপুর ১২ বাজে পেটে এদুর ডন মারছে ,কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে দেখতে পেলাম একটা খাবার দোকান কিন্তু সমস্যা হলো পকেটে অত টাকা নাই আবার এ টি এম থেকে টাকা তুলে দোকানে খেতে গেলাম, ৫টা করে কচুরি আর একটা গলামজামুন মিষ্টি নিল ৮০ টাকা করে মনে যাকে বলে দিনে দুপুরে ডাকাতি , যাই হোক আমরা দুপুরের খাওয়া শেষ করে যথারীতি লঞ্চ চরে বেলুড় মঠে পৌছালাম, আমরা সত্যি ভুলে গিয়েছিলাম যে আমাদের সাইকেল গ্যারেজ এ রাখা আর গ্যারেজ টি দুপুর ১টা র মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, আমরা যখন গ্যারেজ a পৌছালাম তখন বাজে ১:০৫, ব্যাস গ্যারেজ আর মালিক গ্যারেজ এ তলা মেরে বাড়ি খেতে গিয়েছে, আসবে বিকাল ৪ নাগাদ, আমরা ওই ৩ ঘণ্টা কি করবো বুজতে না পেরে বেলুড় মঠ এর চারি পাশ ২ পাক খেয়ে অবশেষে রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসে পড়লাম, অবশেষে ৪টে নাগাদ সাইকেল গ্যারেজ এর মালিক এল আর আমরা আমাদের সাইকেল গুলি বারকোরে বাড়ির উদ্দ্যেশ রওনা দিলাম, বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় ৬:৩০ বেজে গেলো, বাড়ি তে এসে মা এর কাছে হালকা করে বকা ও খেলাম। 

     -: সব শেষে একটাই কথা বলি দিনটা বেশ ভালই কাটলো :-

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ