মহালয়ায় তর্পনের অভিজ্ঞতা
আমি বললাম, যাওয়ার তো ইচ্ছা আছে কিন্তু এত ভোরে যাবো কিভাবে ?
আমার বাইক ও ঠিক নেই, বন্ধটা বললো, দেখছি যদি কোনো বাইক এর ব্যাবস্থা করতে পারি তবে জানাবো |
বেশ রাতে আবার ফোন বেজে উঠলো , অন্য আর এক বন্ধ ফোন করে বললো, কাল ভোরে জাবি নাকি ? আমি বললাম চ তোর বাইক এ, তারপর রাত্রি নিদ্রাতে নিমজিত হলাম |
পরের দিন ভোর ৪তে নাগাদ উঠে পড়লাম, আর ওই দ্বিতীয় বন্ধটাকে ফোন করে ফেললাম , আর বললাম ঝোপ করে উঠে বাইক টা বার কর , আর সাথে করে ধুপ ,মোমবাতি , ঠাকুরমশাই এর দক্ষিনা এর একটা গামছা নিয়ে নে |
তারপর আমরা বাড়িয়ে পড়লাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়পুর গঙ্গার উদ্দেশে.বন্ধটার বাইকে চেপে বসলাম পরনে হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি, গলায় গামছা ও মাথায় হেলমেট |
প্রায় ২০ কিলোমিটার চালানোর পরে আমরা রায়পুর গঙ্গার পারে গিয়া পৌছালাম , তারপর বাইক পার্কিং করে আমরা গঙ্গা পারে নেবে পুরোহিত মশাই কে খুঁজতে থাকলাম , অবশেষে আমরা একটা মনের মতো পুরোহিত মশাই খুঁজে পেলাম, আমরা প্রথমে স্নান করে পুরোহিত মশাই আর কাছে লাইন দিয়েদিলাম তর্পন এর জন্য , অবশেষে আমাদের তর্পনের পালা এল আমরাও যথারীতি মন্ত্র পাঠ করে স্বর্গবাসী পূর্ব পুরুষদের মঙ্গল কামনা করলাম, তারপর মোমবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে আমাদের তর্পনের কাজ সম্পূর্ণ হলো |
আমরা গা মুছে বাইক টিকে স্টার্ট করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম, বাড়ি আসে আবার ভালোকরে স্নান করে সকালের টিফিন খেয়ে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিলাম |
0 মন্তব্যসমূহ